জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, ভর্তি হতে এসে আটক ২

Looks like you've blocked notifications!
জাবিতে আটক ভর্তিচ্ছু দুই শিক্ষার্থী সীমান্ত দেবনাথ (বামে) ও নোমানুল হক রিমন। ছবি : এনটিভি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, সাক্ষাৎকার পর্বে পার পেয়ে গেলেও ভর্তি হওয়ার সময় জালিয়াতি ধরা পড়ে ওই দুই শিক্ষার্থীর।  

আজ সোমবার এ ঘটনা ঘটে। আটক শিক্ষার্থীদের পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আটককৃত ভর্তিচ্ছুরা হলেন, বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার বোয়ালিয়ার নোমানুল হক রিমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদে (‘সি’ ইউনিট) ২৪তম স্থান লাভ করে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হতে এসে শিক্ষকদের কাছে ধরা পড়েন। অপরজন নেত্রকোনা জেলার পারলার সীমান্ত দেবনাথ। তিনি বিজনেস স্ট্যাডিজ অনুষদে (ই ইউনিট) ১১৬তম হয়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হতে এসে আটক হন। 

নোমানুল হক রিমনের ব্যাপারে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘বাড়তি সতর্কতার জন্য আমরা ভর্তিচ্ছুদের হাতের লেখা, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছি। এতে আটককৃত শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রের হাতের লেখার সাথে গরমিল পাওয়া যায়। এ ছাড়া সে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।’ 

সীমান্ত দেবনাথের ব্যাপারে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা বলেন, ‘আটককৃত ভর্তিচ্ছুরা সাক্ষাৎকারে ধরা পড়েনি। ভর্তি হতে আসলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে তার হাতের লেখা যাচাই করলে উত্তরপত্রের সাথে গরমিল পাওয়া যায়।’

আটকদের ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছে। তাদের দুজনকে আশুলিয়া পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় উত্তরপত্রে বাংলা ও ইংরেজিতে দুটি বাক্য লিখতে হয়। উত্তীর্ণ হওয়ার পর হাতের লেখা মিলিয়ে দেখার জন্য সাক্ষাৎকারের সময় শিক্ষার্থীদের ফের দুটি বাক্য লিখতে দেওয়া হয়। এ বছর এভাবে মোট ১২ ভর্তিচ্ছুর হাতের লেখায় গরমিল থাকায় সাক্ষাৎকার পর্বে আটক হন। তবে সোমবার আটককৃত ভর্তিচ্ছুরা তখন পার পেয়ে যায়। আজ ভর্তি হতে এলে পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ে তাঁরা আটক হন।