গবেষণা চুরি : কুয়েটের ৩ শিক্ষকের শাস্তি

Looks like you've blocked notifications!

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তিন শিক্ষক জাপানের প্রকাশিত গবেষণাপত্র হুবহু নকল বা চুরি (প্লেজিয়ারিজম) করে নিজেদের নামে প্রকাশ করায় তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ রোববার কুয়েটের ৫৮তম সিন্ডিকেট সভায় এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার। তিনি জানান, একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

শাস্তি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল-বারী ও এনার্জী সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান আলী। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক, গবেষণা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে এই তিন শিক্ষককে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সিন্ডিকেটের সভায়।

সভায় বিষয়টি তদন্তের জন্য কুয়েটের আইআইসিটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্স এর পরিচালক প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইট এর সমন্বয়ে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৪ সালে মিটসুবিশি মটরস এর টেকনিক্যাল রিভিউতে (নম্বর-১৬) প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধের প্রায় শতভাগ হুবহু নকল করে কুয়েটের উল্লেখিত তিন শিক্ষক ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং(ভলিউম-২ ইস্যু-১) এবং আইসিএমআইএমই ২০১৩ এ দুইটি টেকনিক্যাল পেপার প্রকাশ করেন। উক্ত পেপারের বিষয়বস্তু, ফলাফলসহ অন্য লেখকের গবেষণার সঙ্গে মিলের পরিমাণ নিরিক্ষণের জন্য দেশের চারজন গবেষক ও শিক্ষকের কাছে পাঠানো হয়। প্রত্যেকেই প্লেজিয়ারিজমের সত্যতা পান। পরে অভিযোগটি সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হলে তিন শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল-বারী ও সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান আলীকে এসব শাস্তি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে বার বার টেলিফোন করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।