শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত

এসএসসি পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর তিনদিন আগে থেকে শুরু করে সব পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে আজ সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা।

সভায় পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে পরীক্ষা চলাকালীন দেশে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ রাখার ব্যাপারেও আলোচনা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আফরাজুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সভায় আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু, নির্বিঘ্নে ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো রোধ, ফেসবুকে প্রশ্ন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় এবং কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে স্ব স্ব আসনে বসতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না এবং এর অন্যথায় পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। কোনো পরীক্ষার্থীর হাতে কোনো মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তাকে তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা হবে। নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় আরো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর  তিন  দিন আগে থেকে শুরু করে সব পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো কোচিং সেন্টার খোলা রাখা যাবে না।

সভায় জানানো হয়, পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। শুধু কেন্দ্র সচিব একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর,  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ, ড. অরুনা বিশ্বাস, ও জাবেদ আহমেদ, কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিজি প্রেসের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।