প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল, কেউ রেহাই পাবে না
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘এবার প্রশ্ন ফাঁস রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এবার প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে। প্রশ্ন ফাঁস হলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসেছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র ও ১০ লাখ আট হাজার ৬৮৭ জন ছাত্রী রয়েছে। আজ সকাল ১০টা থেকে দেশের তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর একটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ছবি : ফোকাস বাংলা
এবারই প্রথম সারা দেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগেই হলে আসনে বসতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা বাকি থাকলেও সায়েন্স ল্যাবরেটরির রাজধানীর গভর্নমেন্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ভিড়। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের হলে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে কেউ কেউ ঢুকেছে সাড়ে ৯টার কিছুটা পর।
আগেভাগে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। একজন অভিভাবক বলেন, যারা আজকে এসএসসি পরীক্ষার্থী, তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই দায়ভার ওরা কেন নেবে? পরীক্ষার্থীদের বাইরে রেখে যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটা নিতে হবে।
আরেকজন অভিভাবক বলেন, সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হলে, একটা বাচ্চাকে এক-দেড় ঘণ্টা আগে রওনা দিতে হবে। সকালে সে পড়ার জন্য যে সময় পেত, এখন আর তা পাচ্ছে না।
এই পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সুষ্ঠু পরীক্ষার জন্য সবকিছু করা হচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অস্থিরতা না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা সবাইকে অনুরোধ জানাব, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, বিভিন্ন সংগঠন যার যার কর্মকাণ্ডে এমন কিছু করবেন না, যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি হয়। তার তো ভালোর জন্যই করতে চাইছেন, ভালো করতে গিয়ে যদি আমাদের এই সাড়ে ২০ লাখ ছেলে-মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, যারা এখানে গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের জন্য। যারা এমন কোনো কর্মসূচি, এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না যাতে, আমাদের ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত করবে।