তরুণ সমাজের ভূমিকা নিয়ে জেসিআই বাংলাদেশের আয়োজন

Looks like you've blocked notifications!

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের তরুণ এবং কর্মক্ষম নাগরিকদের নিয়ে গঠিত একটি বিশ্বব্যাপী সংস্থা যারা তাদের সমাজের সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানের জন্য নিযুক্ত এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জেসিআই সমাজের সব স্তর থেকে কর্মক্ষম নাগরিক নিযুক্ত করে, তরুণ সমাজকে বিকাশ লাভের সুযোগ করে দেয়। তরুণরা যাতে সমাজের ভালো পরিবর্তন আনতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জেসিআই।

সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই জেসিআই বাংলাদেশ  ২৪ মার্চ  ঢাকার গুলশান-২ তে অবস্থিত হোটেল লেকশোরের লা ভিটা হলে আয়োজন করলো ‘ইয়ুথ লিডারশিপ কনক্লেভ : জাতি গঠনে তরুণ সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি উন্নয়নমূলক কর্মশালা এবং আলোচনা সভার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের সামনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এবং তরুণদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন শক্তি এবং খনিজ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

বাংলাদেশ তার জনশক্তি দ্বারা পরিচালিত একটি সম্ভাবনাময় দেশ। বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময়য় সম্পদ তার উদীয়মান যুবসমাজ। সারা দিনব্যাপী আয়োজিত ‘ইয়ুথ লিডারশিপ কনক্লেভ’ সভাটির মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল তরুণ সমাজের মধ্যে নেতৃত্ব এর গুণাবলি গড়ে তোলা; কিভাবে তারা নিজেদের পরিচালিত করবে এবং ভবিষ্যতে যোগ্য নেতা হিসেবে কর্মক্ষম নাগরিকদের নিয়ে একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়ে তুলবে। ২৫০ এরও বেশি তরুণ, যারা মূলত জেসিআইয়ের সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরুণ পেশাদার ,  যুবসমাজ, তরুণ উদ্যোক্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই উন্নয়নমূলক কর্মশালাটিতে অংশ নেয়।

সভাটিতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিষয়ের বিশিষ্ট এবং স্বনামধন্য বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ, করপোরেট আইকন, শিল্প পথিকৃৎ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা এবং দেশের সফল চিন্তাবিদসহ অনেকে। তারা বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য দিকনির্দেশনা; দেশে কাজের ক্ষেত্র, বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎ; জাতি হিসেবে বাংলাদেশের উন্নতির সম্ভাবনা এবং তরুণদের ভূমিকা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তাদের চিন্তা-চেতনা ও বক্তব্য কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ কারীদের মাঝে পেশ করেন। সভাটির চারটি প্রধান বিষয়বস্তু ছিল ‘আগামী প্রজন্মের প্রযুক্তি’ , ‘বাংলাদেশ- এশিয়ার পরবর্তী টাইগার’, ‘উদ্যোক্তার ভবিষ্যৎ’, ‘পরিবর্তনের শুরু আমাকে দিয়ে’। পর্বগুলোর মাধ্যমে উপস্থিত তরুণরা একটি উন্নত দেশ গঠনের উদ্দেশে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ ও উদ্বুদ্ধ হয়।

অনুষ্ঠানটির ‘আগামী প্রজন্মের প্রযুক্তি’ পর্বটির বক্তা হিসেবে বেসিসের প্রধান  সায়েদ আলমাস কবির, মাইক্রোসফট বাংলঅদেশের বাবস্থাপক সোনিয়া বশির খান , বাংলাদেশ ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনে পরিচালক আশীষ চক্রবর্তী  এবং বেসিসের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় পর্ব ‘বাংলাদেশ- এশিয়ার পরবর্তী টাইগার’এর বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক এর প্রধান অর্থনীতিবিদ জনাব ফয়সাল আহমেদ , এফবিসিসিআইর প্রধান মো. শরিফুল ইসলাম মহিউদ্দিন, এমসিসিআইর প্রধান নাহিদ কবির, বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি আতিকুল ইসলাম এবং ডিসিসিআইর পরিচালক ওয়াকার এ চৌধুরী ।

‘উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যৎ’ নামক পর্বটির বক্তা হিসেবে বিওয়াইএলসির সভাপতি এজাজ আহমেদ , র‌্যাংগসের পরিচালক সোহানা রউফ চৌধুরী , সামিট গ্রুপের পরিচালক আজিজা খান এবং কনফিডেন্স গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষে জেসিআইর প্রেসিডেন্ট মার্ক ব্রায়ান লিম , জেসিআইর  প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াকার এ চৌধুরী, নেসার মাকসুদ খান, দাতা মাগফুর ও আমজাদ হোসেন ‘পরিবর্তনের শুরু আমাকে দিয়ে’ পর্বটিতে বক্তব্য দেন।

জেসিআই বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানে তাদের ওয়েবসাইটের নতুন সংস্করণ উদ্বোধন করে। ওয়েবসাইট সংস্করণে পার্টনার ছিল আই-মেশ।

জেসিআই বাংলাদেশের জাতীয় নিয়ন্ত্রক বোর্ড ও মেম্বারদের পক্ষ থেকে জেসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ফায়াজ আতিকুল ইসলাম প্রেরণাদায়ক এই অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেন। আলোচনা সভাটির  আহ্বায়ক ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের জাতীয় আইন উপদেষ্টা সারাহ কামাল।