ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আবারও অনশনে ওয়ালিদ

Looks like you've blocked notifications!
ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থী ওয়ালিদ আশরাফ। গতকাল রোববার রাত ৮টা থেকে তিনি ফের অনশন শুরু করেন। ছবি : এনটিভি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে আবারও অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ আশরাফ। 

গতকাল রোববার রাত ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনে ওয়ালিদ আবারও অনশন শুরু করেন।

এর আগে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে গত ২৫ নভেম্বর ২০১৭ থেকে ১৫ দিনের অনশনে ছিলেন এই শিক্ষার্থী। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ডাকসু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে তাঁর অনশন ভাঙান। 

জানতে চাইলে ওয়ালিদ আশরাফ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ডাকসুর নির্বাচনের দাবিতে আমি আবারও অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি। আমার প্রত্যাশা ছিল, বর্তমান ডিজিটাল সুবিধায় ও প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত এই নির্বাচন সম্ভব হবে। কিন্তু বর্তমান তোষামোদী প্রশাসন এক বছরের প্রস্তুতির সময় চেয়ে তার অযোগ্যতাই তুলে ধরেছে।’

ওয়ালিদ আশরাফ বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে একটি নির্দিষ্ট সংগঠনের নেতৃত্বে ক্রমাগত নিপীড়ন চলছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আস্থার ছায়া দেওয়ার কথা বিবেচনায় এই প্রশাসনের অপারগতা বিবেচনা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বলিষ্ঠ পদক্ষেপ প্রার্থনা করি।’ 

বর্তমান প্রশাসন আদালতকে মূল্যায়ন করছে না মন্তব্য করে ওয়ালিদ আশরাফ আরো বলেন, ‘যত দিন দাবি আদায় না হবে, তত দিন আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

আদালতের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ সিনেট গঠন এবং ডাকসু নির্বাচনের শেষ তারিখ আগামী ১০ এপ্রিল শেষ হবে। কিন্তু ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আদালতের নির্দিষ্ট তারিখ অমান্য করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাবি কর্তৃপক্ষ  সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে। এমনকি সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ৩০ মার্চের মধ্যে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ঘোষণা দেয়।
  
সে জন্য ওই বছরের ৩০ মের মধ্যে হলগুলোকে ডাকসু নির্বাচনের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছে সিন্ডিকেট। এ ছাড়া সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করতে পরিবেশ সংসদকে পুনরুজ্জীবিত করে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

গত ২৮ বছর ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচনের তারিখ কয়েকবার ঘোষণা করলেও সেই নির্বাচন নানা কারণ দেখিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠন নিয়মিত আন্দোলন করে যাচ্ছে ।