এইচএসসি পরীক্ষায় বসল ১৩ লাখ শিক্ষার্থী

Looks like you've blocked notifications!

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ সোমবার। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ওই পরীক্ষা।

প্রথম দিন এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র এবং ডিআইবিএস-এ বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে।

আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে কোরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় সকালে বাংলা-২ (নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-২ (পুরাতন সিলেবাস) এবং বিকেলে বাংলা-১ (সৃজনশীল নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-১ (সৃজনশীল পুরাতন সিলেবাস) পরীক্ষা হবে।

চলতি বছর আট হাজার ৯৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ছয় লাখ ৯২ হাজার ৬৭৩ জন ছেলে ও ছয় লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন মেয়ে। এবার তত্ত্বীয় পরীক্ষা সোমবার থেকে শুরু হয়ে ১৩ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৪ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩ মে শেষ হবে।

২০১৭ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন এবং ২০১৮ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন, বৃদ্ধির হার ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৯টি এবং মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৪৪টি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে সারা দেশের এইচএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে সেট কোড ব্যবহারের নির্দেশনার এসএমএস যাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

সূত্র জানায়, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতিলেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং পরীক্ষার কক্ষে তার অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।