অনিশ্চিত রাবির দশম সমাবর্তন, সংশয়ে গ্র্যাজুয়েটরা

Looks like you've blocked notifications!

তৃতীয়বারের মতো পেছাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দশম সমাবর্তন। সংশয়ে রয়েছেন সমাবর্তনের জন্য নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমবার ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে, পরে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সেগুলো পরিবর্তন করে চলতি বছরের ২৪ মার্চ সমাবর্তনের তারিখ নির্ধারিত হয়।

সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি, এমবিবিএস, বিডিএস ডিগ্রি সম্পন্নকারী মোট ছয় হাজার নয়জন নিবন্ধন করেন।

কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে ১৩ মার্চ আবারও সমাবর্তন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। 

সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি না থেকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সিদ্ধান্তের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন আচার্য। আচার্যের অনুপস্থিতিতে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন উপাচার্য। কিন্তু আচার্যের স্থলে সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতিত্ব করবেন বলে ঠিক হয়। সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্ব করা নিয়ে বেশ সমালোচনা করেন গ্র্যাজুয়েটরা। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতিকেই চান বলে দাবি জানান তাঁরা।

সমাবর্তন নিয়ে এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয়, ‘সত্যি, চরম বিরক্ত এই নতুন প্রহসন দেখে। রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে এক প্রহসন, তারিখ নিয়ে আরেক প্রহসন শুরু হলো। না জানি আরো কত ভেল্কিবাজি অপেক্ষা করছে।’

এ ছাড়া বিভিন্ন আইডিতে প্রশাসনের সমালোচনা করে ‘ব্যর্থ প্রশাসন’, ‘রেজিস্ট্রেশনের টাকা ফেরত চাই’ বলেও মন্তব্য করা হয়।

এদিকে, সমার্বতন স্থগিত হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে। অনেকেই সমাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, অনুষ্ঠান হলেই ভালো হতো। পরে আবার কবে হবে, নাকি হবেই না—তা নিয়ে সন্দেহ জানান তাঁরা। অন্যপক্ষ, সমাবর্তনের তারিখ স্থগিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সনদ পাওয়ার আশা তৈরি হলো বলে মনে করছে। 

গ্র্যাজুয়েট মো. কাজল মিয়া বলেন, ‘রাজশাহীতে হোটেল বুকিং দিয়েছিলাম। কিন্তু অনুষ্ঠান স্থগিত হলো। পরে উপস্থিত হতে পারব কি না, জানি না।’ 

কল্যাণী সাহা নামের আরেক গ্র্যাজুয়েট বলেন, ‘প্রত্যেক শিক্ষার্থীই গাউন, টুপি পরে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সনদ নেওয়ার স্বপ্ন দেখেন। অনুষ্ঠান পেছানোয় খারাপ লাগছে। কিন্তু এতে রাষ্ট্রপতিকে পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সমাবর্তনের ব্যাপারে আমরা সরকারকে জানিয়েছি। আমাদের এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। জানালে আমরা সে অনুযায়ী তারিখ ঘোষণা করব।’