আন্দোলনকারীকে নির্যাতন, ছাত্রলীগ নেত্রী বহিষ্কার
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রীদের মারধর ও এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গে এশাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ বহিষ্কার করে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এশার বিরুদ্ধে যে ছাত্রীকে নির্যাতন করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই আহত ওই ছাত্রীর নাম মোরশেদা বেগম। তিনি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ছাত্রলীগ হল শাখার নেতৃবৃন্দ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা জানান, ছাত্রলীগ সুফিয়া কামাল হল শাখার সভাপতি ইফফাত জাহান এশা উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোরশেদা বেগমের ওপর নির্যাতন চালান। তাঁকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রীদের পাঠানো ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, হলের সিঁড়ি ও রুমের মেঝেতে রক্তের ফোঁটা জমে আছে। আর ওই ছাত্রীর পায়ে রক্ত লেগে আছে।
এ ঘটনায় পর ছাত্রলীগ নেত্রী নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা তাঁকে কক্ষ থেকে টেনে বের করে আনার চেষ্টা করেন। ঘটনার সময় হলের আবাসিক শিক্ষক উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।
সর্বশেষ পরিস্থিতিতে জানা যায়, ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রীরা হলের গেট ভেঙে বের হয়ে যান। হলের ভেতর জড়ো হয়ে ছাত্রীরা স্লোগান দেন। এ সময় অন্য হলের হাজার হাজার আন্দোলনকারী সুফিয়া কামাল হলের গেটের সামনে এসে স্লোগান দেন।
ঘটনার এক ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী সুফিয়া কামাল হল থেকে বের হলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এশাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর তার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও এশাকে বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়।