রানার আপ জাবি খেলবে না, কারণ টাকা নেই
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ক্লেমন ইনডোর ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে- ২০১৫’। এ প্রতিযোগিতার গত দুই আসরের রানার আপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এবারের আসরে অংশগ্রহণ করতে পারছে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন আশঙ্কার কথাই জানা গেছে।
শারীরিক শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্পোর্টস কমিটিকে লিখিতভাবে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা অফিস। পাশাপাশি এ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন, জার্সি তৈরি এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ৪৫ হাজার টাকার বাজেট দেয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্পোর্টস কমিটি মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিতে সম্মত হয়।
জানা গেছে, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের অধিভুক্ত কোনো টুর্নামেন্ট না হওয়ায় গত দুই বছরও এবারের সমপরিমাণ বরাদ্দ দিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাকি টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সর বাবদ সংগ্রহ করা হতো। তবে এবার স্পন্সর ব্যবস্থা করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট দল।
এ টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বুধবার উপ-উপাচার্য আবুল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছেন শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মো. সিফাতুল্লাহ, উপপরিচালক মো. আজমল আমীন এবং ক্রিকেট দলের কোচ দেবব্রত পাল। এ ছাড়া ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রাও উপ-উপাচার্যের সাথে দেখা করে নিজেদের আগ্রহের কথা জানান। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করতে দাবি জানান তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের এক সদস্য বলেন, পর পর দুই বছর রানারআপ হয়েও টাকার অভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ না নিতে পারা সত্যি খুব কষ্টের এবং হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কি মাত্র ৪৫ হাজার টাকা ব্যবস্থা করতে পারে না? এটা নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের নিরুৎসাহিত করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রিকেট দলের কোচ ও ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব)সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ছেলেরা খেলতে মরিয়া হয়ে আছে। তবে এ প্রতিযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা বরাদ্দ না থাকায় এবং এ বছর দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্পন্সর সংগ্রহ করতে না পারায় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা প্রায় শেষ।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় স্পোর্টস কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কোনো প্রতিযোগিতা না। আমাদের অর্থ তো সীমিত। এর জন্য আলাদা কোনো বাজেট বরাদ্দ নেই। তবুও আমরা ১৫ হাজার টাকা ব্যবস্থা করে দিতে পারি। এর বেশি দেওয়া যাচ্ছে না।’