গুজবে কান না দিতে ঢাবি উপাচার্যের আহ্বান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি মহল দুরভিসন্ধিমূলকভাবে বিতর্ক সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে সমাজে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। এ ধরনের কোনো গুজবে কান না দিতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য। মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে তরুণ সমাজকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজেদের মর্যাদাকে সুরক্ষা করতে হবে।
মুজিবনগর সরকারের পটভূমি তুলে ধরে ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ওই সরকার গঠিত হয়েছিল। বিশ্ব ইতিহাসে এ ধরনের সরকার বিরল। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় এবং একই বছর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় এ সরকার শপথ গ্রহণ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সরকার গঠিত হয়।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান আরো বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত এই সরকারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ছিল না। ইতিহাসের এ সত্য ইতিমধ্যেই উন্মোচিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল সরকার গঠন করে তাজউদ্দিন আহমেদ বিশ্বকে জানান দিয়েছিলেন ‘আমরা যুদ্ধে আছি।’ আর যুদ্ধে নেমে স্বাধীনতা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকতে পারে না এবং এক সময় আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনলাম।
এ সময় জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে জানতে, তাঁদের কাজ সম্পর্কে জানতে উৎসাহ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর, মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ডের প্রতিনিধি মো. গোলাম রব্বানী সরকার প্রমুখ।