মামলা প্রত্যাহার না করলে সারা দেশে ফের ক্লাস বর্জন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলা সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। অন্যথায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূর। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে নূরুল হক নূর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমের খবর ও ভিডিও ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষ সাক্ষীর তথ্য নিয়ে অতি দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো অজ্ঞাতনামা মামলা রাখা যাবে না। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসা দোষীদের জিজ্ঞাসা করলে সহজেই অপরাধীরা ধরা পড়বে। অধিকতর তদন্ত ও সহায়তার স্বার্থে আমরা ঢাবি প্রশাসন ও পুলিশকে আরো সাতদিনের সময় দিয়ে দোষীদের খুঁজে বের করে অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার চাচ্ছি।
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নেতৃত্বদানকারীদের নানা রকম ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে দাবি করে নূরুল হক বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাই আন্দোলনে নেতৃত্বধানকারী ও সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি এবং কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হক বলেন, একটি মহল ‘গুজবে কান দিবেন না’ নামক ফেসবুক গ্রুপ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওই গ্রুপ থেকে বলা হচ্ছে আমাদের খেয়ে দিতে। আমরা সবাই আমাদের জীবননাশের শঙ্কায় আছি। আমাদের আহ্বায়ককেও (হাসান আল মামুন) ভয় দেখানো হচ্ছে, যার কারণে তিনি আজকের সংবাদ সম্মেলনে আসেননি।