তিন বিষয়ে ফেল, তবুও ঢাবি ছাত্রী পাস

Looks like you've blocked notifications!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী তিন বিষয়ে ফেল করলেও তাঁকে কৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর নাম পারভীন আক্তার। তিনি কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রী। তাঁর পরীক্ষার রোল নম্বর ২৭৫২। ২০১৪-২০১৫ সেশনে তিনি ঢাবিতে ভর্তি হন।

গত বছরের নভেম্বরে এই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর ফলাফল প্রকাশিত হয় চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল।

ওই শিক্ষার্থীর নম্বরপত্রে দেখা যায়, তিনি অষ্টম সেমিস্টারে চারটি কোর্সের তিনটিতেই ফেল করেছেন। বিষয়গুলো হলো- মর্ডান মুসলিম ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশন, ডেভেলপমেন্ট অফ মুসলিম আর্ট অ্যান্ড আর্কিটেকচার ও মুসলিম হিস্টোরিওগ্রাফি। তিনি শুধুমাত্র পাস করেছেন বাংলাদেশ স্টাডিজ সাইন্স শীর্ষক ১৯০৫ নম্বর কোর্সে।

এদিকে মোট ৮ সেমিস্টারের মধ্যে ৭ সেমিস্টারেই ওই শিক্ষার্থী প্রথম গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছেন। কেবল অষ্টম সেমিস্টারেই তিন বিষয়ে ফেল করেন তিনি। কিন্তু ৮টি সেমিস্টারের মোট রেজাল্ট দেখানো হয়েছে সিজিপিএ ৩.০০।

এ বিষয়ে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী বলেন, বিষয়টি ভুল হয়েছে। তবে সেটি সংশোধন করা হবে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও এক শিক্ষার্থী সিজিপিএ-২.৫ পান। বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের সমাপনী পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে এ অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এছাড়া প্রকাশিত রেজাল্টে অন্তত ২০-২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর ফলাফলে অসঙ্গতি থাকায় বিভাগ কর্তৃপক্ষ রেজাল্টটি প্রত্যাহার করেছেন। তার আগে এই বিভাগে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করে নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দু্ই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্তাধীন।

এছাড়া বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারে ‘এ’ গ্রুপের ৭৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ জন জিপিএ চারের মধ্যে চার পাওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।

সার্বিক বিষয়ে জানতে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।