সভাপতি ছাড়াই চলছে ইবির অর্থনীতি বিভাগ
সভাপতি ছাড়াই চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগ। অধ্যাপক ড. আবদুল মুঈদ সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো জবাব না এলেও তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন না বলে জানা গেছে। ফলে বিভাগের ক্লাস ও অফিস কার্যক্রমে চরম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
সূত্রমতে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বোর্ড পাঁচজন প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের সুপরিশ করে সিন্ডিকেটে পাঠায়। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৮তম সিন্ডিকেটে অনুমোদন দেয়। পরে চারজন প্রার্থী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু আরিফ নামের এক প্রার্থী যোগদানের অনুমতিপত্র না পাওয়ায় যোগদান করতে পারেননি। এ ঘটনায় গত ১৩ মার্চ পদত্যাগ করেন অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মুঈদ। পদত্যাগের কারণ হিসেবে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত এবং নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী এক প্রার্থীকে যোগদানপত্র দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে তারা সিন্ডিকেটের প্রতি সম্মানও দেখায়নি।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার দুই মাস পার হলেও কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে সভাপতি ছাড়া বিভাগের ক্লাস ও অফিস কার্যক্রমে চরম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের শাখা কর্মকর্তা মো. মারফত আলী জানান, সভাপতি ছাড়া বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কোনো প্রকার চিঠিপত্রের জবাব ও অর্থের আদান-প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন ব্যাচের ক্লাস কোর্সগুলো বণ্টন হচ্ছে না।
অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মুঈদ বলেন, ‘আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছে না কর্তৃপক্ষ। তবে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আবদুল লতিফ বলেন, ‘অধ্যাপক ড. আবদুল মুঈদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। তাঁকে বিভাগের সভাপতি পদে পুনরায় ফিরে যাওয়া জন্য বোঝানো হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘অর্থনীতি বিভাগের কোনো সমস্যা নিয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি। সমস্যা হচ্ছে কি-না, তা জানি না। বড় ধরনের কোনো সমস্যা হলে সেটা আমি দেখব। রমজানের ছুটির পর বিষয়টির সমাধান করা হবে।’