খুবির লকার ভেঙে টাকা চুরি, উপাচার্যের ভাতিজা গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) লকার ভেঙে টাকা চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের লকার ভেঙে ৮৫ হাজার টাকা চুরি হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম সৈকত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী।

প্রত্যক্ষদর্শী, ওই চুরির ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারীকে হরিণটানা থানায় নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় সৈকত টাকা চুরির কথা স্বীকার করেন। কিন্তু  সৈকত ভিসির ভাতিজা হওয়ায় প্রথমে থানায় মামলা না করে বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা শোনা যাচ্ছিল।

খুলনা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র এডিসি সোনালী সেন জানান, বিষয়টি হরিণটানা থানাকে অবহিত করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলায় সৈকতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম খান জানান, চুরি যাওয়া টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা সৈকতের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাতে মামলা করার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা না করে বিভাগীয়ভাবে টাকা আদায় করার সিদ্ধান্ত পুলিশকে জানায়।

ওসি আরো জানান, এই চুরির খবর টিভিতে প্রচারিত হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার উদ্যোগ নেয়। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বাদী হয়ে এই চুরির মামলা করেন।

খান গোলাম কুদ্দুস জানান, সৈকত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভাতিজা। উপাচার্য নিজে বলেছেন, তাঁর আত্মীয় হোক আর যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

গোলাম কুদ্দুস জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় মূলত মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে। এই উপাচার্যের আমলেই সৈকতকে ল্যাব সহকারী পদে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁর চাকরির বয়স মাত্র কয়েক বছর।