জাবিতে পতাকা মিছিল বের করতে দেয়নি ছাত্রলীগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পতাকা মিছিল বের করতে দেয়নি ছাত্রলীগ। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। এ সময় সেখানে হাজির হন শাখা ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। তারা কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিষেধ করেন ও হুমকি-ধমকি দেন।
একপর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাহিদুর রহমান ও মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী কোটা সংস্কার আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামানকে সেখান থেকে জোর করে বটতলার দিকে নিয়ে যান। শাকিলুজ্জামানকে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁদের এ সময় বাধা দিতে দেখা যায়নি।
মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নাহিদুর রহমানের সঙ্গে। আরেক নেতা মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা তাঁকে (শাকিল উজ্জামান) আন্দোলনটা করতে নিষেধ করেছি। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি না হয়, সেজন্যই তাঁকে বারবার বলা হয়েছে। আন্দোলনটা যেন না হয়, সেজন্যই তাঁকে আন্দোলনকারীদের মাঝ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরে সে হলে চলে গেছে। আমরা তাঁকে কোনো প্রকার মারধর করিনি। ’
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, শাকিলকে ছাত্রলীগ তুলে নিয়ে যায়নি। শাকিল তাঁর আবাসিক হলের রুমেই রয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদল ও শিবিরের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল, এমন তথ্য আমাদের কাছে থাকায় ক্যাম্পাসের সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে আমরা সেখানে অবস্থান নিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে যাতে কোনো দুষ্কৃতিকারী ছাত্রদল ও শিবির অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে সেজন্য ভবিষ্যতেও জাবি ছাত্রলীগ সদা তৎপর থাকবে।
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য সহকারী প্রক্টর ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া। পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাঁরা (ছাত্রলীগ) আমাদের বলল যে ওকে (শাকিল উজ্জামানকে) গল্প করতে নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা বাধা দেইনি। তবে আমরা বলেছি যেন কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর গায়ে হাত না তোলা হয়।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক আবু সাঈদ এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।