ঢাবিতে ছাত্রলীগের পাল্টা মানববন্ধন
গত দুদিন ধরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার পর এবার পাল্টা মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগ। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘গুজব ছড়াবেন না’ শিরোনামে এ মানবন্ধন করে তারা ।
এর আধা ঘণ্টা আগে দুপুর ১২টার দিকে হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী’র ব্যানারে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
গত শনিবার ও রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মারধরের শিকার হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাঁদের অনেকেই গুরুতর আহত হন। আবার অনেকেই গ্রেপ্তার হন।
এ সময় অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার মোহাম্মাদ নিজামুল ইসলাম, ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ সাগর আহম্মেদ, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক রানা হামিদ, সহসম্পাদক জাহিদ হাসান জয়, সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের বর্ধিত কমিটির সদস্য শেখ আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও হলশাখার নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন।
মানববন্ধনে সাংবাদিকরা এলে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা মানববন্ধন ছেড়ে পেছনে গিয়ে দাঁড়ান। মানববন্ধনে উপস্থিত ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতারা বলেন, কোটা সংস্কার নামে একদল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। তাদের দুটি গ্রুপ এ হামলায় জড়িত। এখানে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নেই।
গত দুদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগের বিষয়টি জানতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে গুজব ছড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছিল। পরবর্তীতে তাদের এই মতলব সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে। তাই শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা আন্দোলনকারীদের দুটি গ্রুপের মধ্যে।’
কোন দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে তা জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে সৈকত বলেন, ‘রাশেদ-নূরের দুটি গ্রুপ।’ ছাত্রলীগ কোন গ্রুপে ছিল জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
মানববন্ধনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে মানববন্ধনকারীরা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে কেউ কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে এলে তা প্রতিহত করা হবে।’