শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। ছবি : এনটিভি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার করার দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।

আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা ওই দাবি জানান।

ছাত্রদের ওপর হামলার বিচার দাবিতে আগামী ১২ জুলাই মশাল মিছিলের ঘোষণা দেয় প্রগতিশীল ছাত্র জোট। এ ছাড়া ওই জোট আগামী ৮ জুলাই সন্ত্রাস ও দখলদারত্ব বন্ধ ও শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশের দাবিতে দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করবে। একইসঙ্গে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলেজগুলোর অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবে ওই জোট। আগামী ১৫ জুলাই তারা কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স ,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী শুভ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর, ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে জিলানি শুভ বলেন, ‘গত ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা-আক্রমণ করেছে। একই সঙ্গে পুলিশের হয়রানি, গ্রেপ্তার ও ৫৪ ধারায় তুলে নিয়ে যাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। এই রকম চরম দমনমূলক পরিস্থিতে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ‘ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোতে লাঠিসোটা, রড, চাপাতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক আক্রমণ-নিপীড়ন মারপিট করে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে। তারা মত প্রকাশের সাংবিধানিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ করে আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে চলেছে। কিন্তু প্রশাসন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে চলেছে ও হামলাকারীদের পক্ষেই সাফাই গাইছে যা প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন দলীয় দাসত্বের পরিচয়কে স্পষ্ট করে।’

সংবাদ সম্মেলনে শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।