ইবি ছাত্রীকে হেনস্থার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক নিজ ছাত্রীকে মানসিক হেনস্থা ও নিপীড়নের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী তিন সদস্যের এ কমিটি করেন। কমিটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাই করবে বলে জানা গেছে।
রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে নিজ ছাত্রীকে হুমকি ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। পরে ওই ছাত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও প্রশাসন পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করে। রোববার সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে প্রক্টর কর্তৃক বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে সোমবার এ ঘটনার তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি করেছে প্রশাসন। এতে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহাকে আহ্বায়ক এবং ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কমিটি করেছে প্রশাসন। বর্তমানে ওই ছাত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঢাকার শ্যামলীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ছাত্রী হেনস্থার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।