ঢাবিতে ছয় দফা দাবিতে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা

মিছিল, মিটিং, বিক্ষোভ, সমাবেশের মতো গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, কোনো ছাত্রসংগঠন বা পুলিশ যেন বাধা না দেয় সে দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানায়।
এ সময় তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসহ ছয় দফা দাবি জানায়।
লিখিত বক্তব্যে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী অরণি সেমন্তি খান। দাবিগুলো হলো- মিছিল, মিটিং, বিক্ষোভ, সমাবেশের মতো আন্দোলনের গণতান্ত্রিক ধারাগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, কোনো ছাত্রসংগঠন বা পুলিশ যেন বাধা না দেয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দাবি জানানোয় গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তি ও আহতদের চিকিৎসা প্রদান, অহিংস মানববন্ধন ও মিছিলে বিনা উসকানিতে যারা হামলা করেছে তাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সিট বণ্টনের দায়িত্ব কোনো দল, গোষ্ঠী বা ছাত্রসংগঠনের হস্তক্ষেপমুক্ত করে হল প্রশাসনকে দেওয়া, কোনো শিক্ষার্থীকে জোর করে সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগদানে বাধ্য না করা, পাশাপাশি কোনো ছাত্রছাত্রী স্বেচ্ছায় কোনো অহিংস আন্দোলনে যোগ দিলে তাকে হলের ভেতরে যেকোনো অত্যাচার বা নিগ্রহের হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসক তাঁর ওপর প্রদত্ত দায়িত্ব পালন না করে নিপীড়নমূলক অবস্থান নিলে তাঁকে অপসারণ করা।
এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়সারা বক্তব্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তারা বলে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র তরিকুলের ওপর হামলার ঘটনায় প্রশাসন চাপে পড়ে দুঃখ প্রকাশ করে। এ সময় রাবির উপাচার্য ড. এম আবদুস সোহবান রীতিমতো নতুন টার্ম উদ্ভাবন করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে রাবি উপাচার্যের ‘বাম ঘরানার শিবির’ বা ‘বাশি’ বক্তব্যের প্রতি নিন্দা জানায় শিক্ষার্থীরা।
অরণি সেমন্তি খান এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত নুরুল হক নূর ও তরিকুলকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। এটাকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন মীম আরাফাত মানব, সানজিদা আলম রিয়া, শাহনেওয়াজ অমি প্রমুখ।