‘মার্চ টু ঢাকা’ করতে পারেনি জাবি শিক্ষার্থীরা

Looks like you've blocked notifications!

পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালন করতে পারেনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ৮ দফা দাবিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকা অভিমুখে রওনা করার কথা ছিল তাদের।

সকালে বৃষ্টি থাকায় কিছুটা বিলম্বে সকাল সাড়ে ৮টায় এ উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা আখতার, প্রক্টর শিকদার মো. জুলকারনাইনসহ প্রশাসনের অন্য শিক্ষকরা কথা বলতে আসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। এ সময় শিক্ষকরা সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষকরা বলেন, আমরা তোমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছি। ক্যাম্পাসের ভেতরে আমরা তোমাদের নিরাপত্তা দিতে পারি কিন্তু ক্যাম্পাসের বাইরে আমাদের সে ক্ষমতা নেই।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে শিক্ষকদের যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। তবে শিক্ষকরা এটি তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান।

পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাস দিতে অস্বীকার করে। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপাতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় অসহযোগিতার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বাস না দিয়ে অসহযোগিতা করায় আমরা কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’

শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবির মধ্যে ছিল- অবিলম্বে নৌমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, জাবালে নূর পরিবহন কোম্পানির রুট পারমিট বাতিল করা, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা ও বেতন নির্ধারণ করা, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা, স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ, আন্দোলন চলাকালীন ও পরবর্তীতে সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।