নিরক্ষরতা দূর করতে ছাত্রলীগকে দায়িত্ব
বাংলাদেশে নিরক্ষরতা দূর করতে ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ তাদের টার্গেটেড সময়ের মধ্যেই ঘোষণা করবে বাংলাদেশে কোনো নিরক্ষরতা নেই।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রলীগ।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ছাত্রলীগ হাল ধরলে বাংলাদেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে লম্বা সময় লাগবে না। আমাদের পার্শ্ববর্তী তামিলনাড়ুতে ১০০ ভাগ শিক্ষিত। আমাদের দেশে এত সম্পদ রয়েছে। আমি মনে করি আমাদের সেই জায়গাতে যেতে আর লম্বা সময় লাগবে না যদি ছাত্রলীগ হাল ধরে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে যখন আমরা ক্ষমতা ছাড়ি তখন সাক্ষরতার হার ছিল ৬০ শতাংশ। ২০০৯ সালে যখন আবার ক্ষমতা গ্রহণ করি তখন এই হার ছিল ৪০-৪১ শতাংশ। এই ধরনের ইতিহাস কোনো রাষ্ট্রে হয়েছে কি না আমার জানা নেই।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চার হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ রেখে গেলাম। এসে পেলাম তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট। আমরা চালে ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রেখে গেলাম। সেখানে আমরা দেখলাম লক্ষ লক্ষ টন খাদ্য ঘাটতি। সেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কোথায় নিয়ে গেছেন। ২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন, বদলে দিবেন বাংলাদেশকে। তিনি যথার্থভাবেই তাঁর ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আপনারা ঘুরুন সারা বাংলাদেশে। নিজের চোখে দেখুন আমরা কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছি। পায়রা বন্দরের দিকে চলে যান, কক্সবাজারের দিক দিয়ে চলে যান, আমাদের নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে সেখানে চলে যান। কীভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা মিলিয়ে গেছি সেটা লক্ষ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যেখানেই যাই, আজকে আমাদের বলে না বাংলাদেশ থেকে আসছ, ভিন্ন লাইনে দাঁড়াও। আমাদের আজকে সমীহ করে। আমি যেখানেই যাই সেখানে বলে তোমাদের সফলতার কারণটা কী। আমি বলি, প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ভালোবাসেন, জনগণ তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে, যেমনভাবে তাঁর পিতার প্রতি আস্থা ছিল সারা বাংলাদেশের মানুষের। ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে বেঁচে থাকতে দেয়নি।
এ সময় আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আমি সারা বাংলাদেশে ঘুরে বেড়াই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দেখেছি।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রিকশা চালায় এমন সাতজন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন হল ক্যান্টিন কিশোরের হাতে বই তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।