ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এতে জালিয়াতির অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় সাড়ে ১১টায়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস রাখার অভিযোগে হলে কর্তব্যরত শিক্ষকরা তাদের দুজনকে আটক করেন। এ ছাড়া সব কেন্দ্রে পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানান তিনি।
আটকরা হলেন পরীক্ষার্থী হৃদয় জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান। তাঁদের আর কোনো তাৎক্ষণিক পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের মোট ৮৪টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর এক হাজার ৭৫০টি আসনের জন্য ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৯৬ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারীবাগের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটসহ ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো—নীলক্ষেত হাই স্কুল, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ড. শহীদুল্লাহ কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, নটর ডেম কলেজ, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ।
পরীক্ষাটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস/যন্ত্র সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করেন।