নিয়োগ-বাণিজ্যের অডিও ফাঁসের ঘটনায় দুই শিক্ষককে শোকজ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক নিয়োগ-বাণিজ্যের অডিও ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ।
গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ-বাণিজ্যের অডিও ফাঁস হয়। অডিওতে চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে টাকা লেনদেনের বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলের কথোপকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ছাত্র উপদেষ্টা ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম ও ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলামকে নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।
তদন্ত কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে পুনরায় তদন্ত কমিটিতে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোয়াদ্দারকে সদস্য করা হয়। কমিটিকে পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই দুই শিক্ষককে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এই মর্মে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয় বলে জানা গেছে।