বিশেষ নিয়োগ ও পুনরায় কোটা প্রবর্তনে আপত্তি আন্দোলনকারীদের

Looks like you've blocked notifications!
কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে গত ৯ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। পুরোনো ছবি

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বিশেষ নিয়োগ ও পুনরায় কোটা প্রবর্তনে আপত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এ তথ্য জানান।

হাসান আল মামুন বলেন, বিশেষ নিয়োগ ও পরবর্তীতে কোটা প্রবর্তন নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। তারা এ ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাঁদের দাবি ছিল, কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা। আন্দোলনের মুখে ২ জুলাই গঠন করা হয় কোটা সংস্কার কমিটি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের নেতৃত্বাধীন কমিটি। সচিব কমিটি মোট তিনটি সুপারিশ করেছিল। পরে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন শেষে তা আসে মন্ত্রিসভায়।

শেষে আজ সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। তবে সচিব কমিটি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরির জন্য কোটা বাতিলের ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করেনি। ফলে এ ক্ষেত্রে বর্তমানে যে নিয়ম বহাল রয়েছে, তা-ই থাকবে।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, ‘নবম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সকল নিয়োগ এখন থেকে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে হবে।’ তিনি বলেন, সরকার সময়ে সময়ে সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে পারবে এবং তাদের জন্য কোটা নির্ধারণ করতে পারবে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘কমিটির রিপোর্ট মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। তিনটি সুপারিশ ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, কোটা বাতিল এবং কোটা বাতিলের ফলে বিদ্যমান জনগোষ্ঠীর বিষয়ে যথাপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।’

‘মন্ত্রিসভা তিনটি সুপারিশই অনুমোদন দিয়েছে। তবে যদি কখনো অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য কোটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে সরকার তা করতে পারবে,’ যোগ করেন সচিব।

অর্থাৎ সরকার চাইলে, ‘প্রয়োজন দেখা দিলে’ আবারো কোটা প্রবর্তন করতে পারবে। এই সুযোগটিতেই আপত্তি জানিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারীরা।