ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম, জবি শিক্ষিকাকে অব্যাহতি

Looks like you've blocked notifications!
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা ড. ফেরদৌসি খাতুন। ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র নিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এ ছাড়া অভিযুক্ত বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা ড. ফেরদৌসি খাতুনকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গঠিত তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শাহজাহান ও সহকারী রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ইউনিট ১ (বিজ্ঞান শাখা)-এর ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপিকা ড. ফেরদৌসী খাতুন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র নিয়ে পরীক্ষার হলের অন্য শিক্ষকদের কিছু না জানিয়েই তিনি রুম থেকে বেরিয়ে যান এবং ভবনের তিনতলা থেকে নামতে থাকেন। এ সময় দায়িত্বরত অন্য শিক্ষকরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁর গতিরোধ করেন এবং ব্যাগে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র নেওয়ার কারণ জানতে চান। কিন্তু ওই শিক্ষক তাদের কোনো উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। পরে পরীক্ষা শেষে অন্য শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।

 অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের (বিজ্ঞান শাখা) ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার বিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডজনিত অপরাধ করায় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আরজুমন্দ আরা বেগম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সহকারী অধ্যাপিকা ড. ফেরদৌসি খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ড. ফেরদৌসি খাতুনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলা বিভাগে তাঁর চলমান সব দায়িত্ব পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ও নম্বরপত্র বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

আরেকটি অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের অভিযোগের ভিত্তিতে ড. ফেরদৌসি খাতুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর দাখিল করা জবাব ও আনীত অভিযোগ সাংঘর্ষিক হওয়ায় সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ড. আতিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।’