প্রশ্নফাঁসের ‘নতুন ডাইমেনশন’ দেখেছেন উপাচার্য

Looks like you've blocked notifications!
‘ঘ’ ইউনিটের ফল ঘোষণা ও প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ছবি : এনটিভি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের পরও ফল প্রকাশ করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়া প্রার্থীদেরও খুঁজে বের করে তাদের ফল বাতিল করা হবে।’

গত ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ঘ' ইউনিটের পরীক্ষা হয়। ওই দিন দুপুরের পর পরই প্রশ্নফাঁসের ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বীকার না করলেও গত শনিবার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পরীক্ষার্থী, অভিভাবকসহ ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা দায়ের করে।

এদিকে প্রশ্নফাঁস বিষয়ক তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রকাশ করা হয় 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল। এ সময় বিশ্ববিদ্যায়লের উপাচার্য প্রশ্নফাঁসের কথা স্বীকার করে এ বিষয়ে তাঁদের পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এ বছর একটা নতুন ডাইমেনশন দেখলাম সেটা হলো হাতে লিখে তারপর ছড়িয়ে দিয়েছে।’

উপাচার্য আরো বলেন, ‘তদন্ত চলছে। একটা তদন্ত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয় যেটি দেখেছে তা হলো তাদের কাছে প্রাথমিকভাবে ধারণা জন্মেছে যে এর সাথে ডিজিটাল কিছু চক্র জড়িত আছে, আসামিতো ধরা পড়েছে, অতএব তাদেরকে চিহ্নিত করে বাদবাকি যারা আছে তাদের বের করে তাদের ভর্তির আওতার মুক্ত রাখা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ আছে। সেগুলো করা হবে।’  

এ বছর ঘ ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষায় পাশের হার ২৬ শতাংশের বেশি যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি মন্তব্য করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট নেতারা প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর বলেন, ‘অবিলম্বে ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ও ঘোষিত ফলাফল বাতিল করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমরা শুনেছি কিন্তু তাদের বিচার যেন নিশ্চিত হয়।’

ঘ ইউনিটের পরীক্ষা আবার নেওয়ার দাবিতে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন শুরু করেছে আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী।