ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রদল নেতাকে ছাত্রলীগের মারধর

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউনুছ। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ছাত্রদলের দুই নেতাকে মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

মারধরে আহত ওই দুই ছাত্রদল নেতার একজন কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া এবং অপরজন বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রদলের সদস্য রায়হানুল আবেদিন। পরে তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

অভিযোগ আছে, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউনুছ ও মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শরিফুল আলম শপুর নেতৃত্বে ২০ জনের মতো ছাত্রলীগের নেতাকর্মী তাদের মারধর করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রদল নেতা মিনহাজুল ইসলাম ও রায়হানুল আবেদিন টিএসসিতে বসে চা খাচ্ছিলেন। পরে ছাত্রলীগ নেতা আবু ইউনুস ও শপুর নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এসে তাঁদের হাকিম চত্বর নিয়ে যান। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁদের ২০ মিনিট ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। মারধরে ওই দুই নেতা আহত হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তাঁদের  নিয়ে যান।

তাঁদের প্রক্টর টিমের কাছে দেওয়ার সময় আহত ছাত্রদল নেতা মিনহাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বসে চা খাচ্ছিলাম। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে আমাদের ধরে নিয়ে মারধর করে।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিল ভূইয়া তানভীর জানান, তারা টিএসসিতে বসে চা খাচ্ছিল। এ সময় ছাত্রলীগের ইউনুস ও শপুসহ কয়েকজন তাদের নিয়ে হাকিম চত্বর আসে। তাদের  মধ্যে নাশতকার কোনো প্লান ছিল কি না, সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে তাদের কাছে নাশকতার কোনো তথ্য ছিল না।

মারধরের বিষয়ে তানজিল ভূইয়া তানভীর বলেন, তাদের মারধর করা হয়নি। যদি মারধর করা হতো তবে ছাত্রদলকে কীভাবে মারধর করা হতো সেটা তো আপনি ভালো মতো জানেন। পরে তাদের প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মারধরে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা আবু ইউনুসকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে এই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে নির্যাতন, ছিনতাই ও চাঁদা দাবির অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তাঁকে হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর ও বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে বহিষ্কার করা হয়।

অন্যদিকে মারধরে জড়িত অপর ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ শরিফুল আলম শপুকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এটা খুবই খারাপ বিষয়। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। এসে খোঁজ নেব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম গোলাম রাব্বানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনেছি। এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। কারা মারধরে জড়িত তা খুঁজে বের করতে প্রক্টর টিমকে বলা হয়েছে। আর যদি কেউ অভিযোগ করে তবে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’