বন্ধ ঘোষণার পরও পাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
১০ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার দাবিতে মঙ্গলবার পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি ও বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) বন্ধ ঘোষণা করার পরও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।

গতকাল সোমবারের পর আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আন্দোলনরত ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হলের খাবার উন্নয়নে ভর্তুকি প্রদান, শ্রেণিকক্ষ ও পরিবহন সংকট দূর করা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে আসছে। গত তিন-চার মাসে বারবার কর্তৃপক্ষ সেসব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এলেও তা বাস্তবায়নে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এর আগেও এসবের দাবিতে ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে। প্রতিবার আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু বাস্তবায়ন করা হয় না। দাবি না মানায় উপাচার্যের ব্যাপারে অনাস্থা পোষণ করে উপাচার্যসহ সব প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিও জানায় শিক্ষার্থীরা।

এদিকে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গতকাল বেলা ১১টার দিকে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জানিয়েছে। শুধু তাই নয় শিক্ষার্থীরা পরে উপাচার্যকে ধাওয়া ও লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ করা হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১০ ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতে করে গোটা ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঘোষণায় আজ সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের চেয়ারম্যান ও ডিন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে আগামী ১৬ নভেম্বর পূর্ব নির্ধারিত ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তিপরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা ও হলত্যাগের নির্দেশে আজ সকাল থেকে অনেক সাধারণ ছাত্রছাত্রী হল ছেড়ে গেলেও ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও ১০ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের আদেশ অন্যায্য এবং দ্রুত তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।