হোটেল ভাঙচুর করায় এসএম হলের তিন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ভাঙচুর মামলা করেছেন এক হোটেল মালিক। গতকাল শুক্রবার রাতে চকবাজার থানায় এই মামলা করেন হোটেল মালিক মোহাম্মদ আলমগীর।
মামলায় অন্তর্ভুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু সায়েম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, ঢাবি ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত এসএম হলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান পিকুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-২০০৭ সেশনের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান পোপ। তিনিও এসএম হল ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। মামলায় আরো ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
হোটেল মালিক আলমগীর আজ শনিবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সলিমুল্লাহ হল এলাকায় বুয়েট মার্কেটে আবার খাবারের হোটেল রয়েছে। আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ‘পিকুল, সায়েম ও পোপ আমার দোকানের নিয়মিত ক্রেতা ছিলেন। কিন্তু খাবার-সামগ্রী কেনার পর তাঁরা আমাকে কোনোদিন পুরো টাকা দিতেন না। পুরো টাকা চাইলে নিজেদের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে হুমকি দিতেন, মারতেন এবং বলতেন তোর দোকানের খাবারের স্বাদ নেই, খাবারে ময়লা থাকে, খাবারের দাম বেশি ইত্যাদি।’
আলমগীর আরো বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো গতকালও দুপুরে তাঁরা আমার দোকানে খেতে আসেন। খাওয়ার পর টাকা চাইলে তাঁরা আমাকে মারধর করেন এবং বলেন, তোর খাবারে ময়লা ছিল, তাই টাকা দিব না। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের কয়েকজন ছাত্র আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তখন তাদেরও মারধর করা হয়। পরে সন্ধ্যায় তাঁরা হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এসে আমার দোকান ভাঙচুর করেন।’
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) শামিম উদ্দিন তালুকদার। তিনি বলেন, ‘দোকানের মালিক বাদী হয়ে রাতেই এই ঘটনায় একটি মামলা করেছেন। যেখানে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা এখন বিষয়টা দেখছি।’
তবে, অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সায়েম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।’
এ ছাড়া বাকি দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, এদের একজনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আর অন্যজন ফোন ধরেননি।