‘টপ ইন ওয়ার্ল্ড’ অর্জন করল বাংলাদেশের ৪৮ শিক্ষার্থী

Looks like you've blocked notifications!

চলতি বছর জুনে কেমব্রিজ এক্সামিনেশন সিরিজে অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য কেমব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের (কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল) ‘টপ ইন ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের ৪৮ শিক্ষার্থী। কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে গতকাল রোববার রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে দেশের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিশেষ ফলাফলের জন্য এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

কেমব্রিজ আইজিসিএসই, কেমব্রিজ ও-লেভেল এবং কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এএস এবং এ-লেভেলে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেছে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া এর মধ্যে ৩৫ শিক্ষার্থী উল্লিখিত সব পরীক্ষায় ‘টপ ইন কান্ট্রি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। সর্বমোট বাংলাদেশের ৯৮ শিক্ষার্থী আউটস্ট্যান্ডিং কেমব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার কানবার হোসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অ্যান্ড্রিউ নিউটন, প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর এক্সামিনেশনস সেবাস্তিয়ান পিয়ার্স, কেমব্রিজ ইন্ট্যারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক রুচিরা ঘোষ, কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালের ব্যবস্থাপক সত্যজিৎ সরকার এবং কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার শাহিন রেজা।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর এক্সামিনেশনস সেবাস্তিয়ান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর সানিডেল স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করে বক্তব্য প্রদান করেন খন্দকার তামকিন সাকির।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অ্যান্ড্রিউ নিউটন বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষায় শীর্ষস্থান অর্জনে তোমাদের সাফল্য অনেক বছরের কঠোর পরিশ্রম, সাহস ও প্রতিশ্রুতির ফল। তোমাদের দেশের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে আরো সাফল্যের ক্ষেত্রে এ অর্জন ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।’

অন্যদিকে, কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক রুচিরা ঘোষ বলেন, ‘কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান লক্ষ্য কঠিন বিষয় সহজে প্রস্তুত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দক্ষতা, যেমন—সৃষ্টিশীলতা, বিশ্লেষণী চিন্তা ও সমস্যা সমাধান বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করে তোলা। আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য ও স্বপ্ন অর্জন করেছে, এটা দেখতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। শিক্ষক ও বাবা-মায়েরা শিক্ষার্থীদের সাফল্য অর্জনে সঠিক পথে যেতে সহায়তা করেছে এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এ জন্য আমরা তাদের সবাইকে বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই।’

পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ৪৮ শিক্ষার্থী দেশের ১৩টি স্কুলের। বিগত বছরগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ সর্বমোট বিজয়ীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।