৫০ শিক্ষার্থী নিয়ে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় আজ নওগাঁ মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়। ছবি : এনটিভি

আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল নওগাঁ মেডিকেল কলেজ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের প্রথম ব্যাচের ৫০ শিক্ষার্থীর পরিচিতি সভার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় কলেজের অস্থায়ী ভবনে শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল বারী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে নওগাঁর মানুষ বহু কাঙ্ক্ষিত মেডিকেল কলেজ পেয়েছে। এতে নতুন নতুন শিক্ষার্থী চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়াশোনার সুযোগ পাবে। এর ফলে নওগাঁসহ সারা দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান আরো উন্নত হবে। 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, মেডিকেল কলেজের ছাত্র হিসেবে আন্তরিকভাবে পড়াশোনা করতে হবে। মানুষের সেবক হওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। মেডিকেল ছাত্র হিসেবে জীবন শুরুর প্রথম পর্যায় থেকে এ অভ্যাস গড়ে তুলতে না পারলে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হিসেবে সমাজে অবদান রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল বারী বলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ব্যাচে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ২৯ জন ছাত্রী ও ২১ জন ছাত্র। তিনিসহ কলেজের মোট শিক্ষক সংখ্যা সাতজন। কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস না হওয়া পর্যন্ত আপাতত নওগাঁ সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস চলবে। 

এ ছাড়া নওগাঁর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য এরই মধ্যে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। শহরের পশ্চিমে জলিল পার্ক সংলগ্ন মাঠে ৫০ একর জায়গার ওপর কলেজের একাডেমিক, প্রশাসনিক ভবন ও ছাত্রাবাস নির্মাণের প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আগামী অর্থবছরে কলেজের নতুন ক্যাম্পাসে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

এ ছাড়া কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মো. আব্দুল মালেক, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, নওগাঁ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী, নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা খানম, সিভিল সার্জন মোমিনুল হক প্রমুখ।