জবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্পাদনা করা একটি ছবি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেলের একটি ছবি ছিল। সেই ছবি থেকে রাসেলের অনুসারী কর্মীরা সভাপতি তরিকুলের ছবিটি সম্পাদনা করে কেটে ফেলে। এবং শুধু রাসেলের পাশে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে। পরে ফেসবুকেই এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে আজ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া শেষে ক্যাম্পাসে আসার পরই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ।
এ সময় ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী শাহরিয়ার শাকিল গুরুতর আহত হন। শাকিলের আহত হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পরলে দ্রুতই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে সভাপতি পক্ষের মার্কেটিং বিভাগের সোহান (১১তম ব্যাচ), গণিত বিভাগের নাহিদ (১৩তম ব্যাচ), অ্যাকাউন্টিং বিভাগের নাফিজ (১৩তম ব্যাচ), আইইআর বিভাগের শাহরিয়ার শাকিল ( ১৩তম ব্যাচ) ও জিহাদ (১৩তম ব্যাচ) গুরুতর আহত হন।
অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক পক্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পারভেজ ( ১১তম ব্যাচ), থিয়েটার বিভাগের সাজ্জাদ ইহসান (১২তম ব্যাচ), নিয়াজ (১২তম ব্যাচ), নূরে আলম (১২তম ব্যাচ), জেনেটিক্স বিভাগের মেজবাউল আজম ( ১৩তম ব্যাচ) গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থী ভৌমিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের কারণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের হস্তক্ষেপে দুপুর ২টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে, বাসে বসাকে কেন্দ্র করে জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘মিরপুরগামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বসাকে কেন্দ্র করে জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা উভয়পক্ষ বসে সেটার মীমাংসা করেছি এবং উভয়ের মধ্যে আর কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটু সংঘর্ষ হয়েছে। আবার উভয়পক্ষ ভুল বুঝতে পেরে মীমাংসা হয়ে গেছে। এখন ক্যাম্পাস পুরোপুরি শান্ত।’