ভর্তি পরীক্ষা নেবে কর্তৃপক্ষ, বর্জনের ঘোষণা শিক্ষকদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময় আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানানো হয়।
যোগাযোগ করা হলে সাইফুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলে, ‘এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা আহ্বান করেছেন। পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কোনো ধরনের বিভ্রান্তি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আলী নূর তাতে সভাপতিত্ব করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকরা অংশ নেবেন না।’
পৃথক বেতন কাঠামো ও গ্রেড সমস্যা নিরসনের দাবিতে প্রায় চার মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। এর মধ্যে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। এরপর শিক্ষকদের আন্দোলন আরো জোরদার হয়।
এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বৈঠকও হয়। বৈঠকে শিক্ষকরা জানান, তাঁরা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ধরনের কর্মসূচি দেবেন না। কিন্তু দাবি আদায় না হলে ১ নভেম্বর থেকে তাঁরা লাগাতার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। যদিও শিক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, শিক্ষকদের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভর্তি পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমাদের আলাদা সত্তা আছে। আমরা ফেডারেশনের সঙ্গেই আছি। তাদের কর্মসূচি পালনে আমরা একমত। কিন্তু আমরা ফেডারেশনে বিলীন হয়ে যাইনি। স্বতন্ত্র অবস্থান থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে বিকেলে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’