ডাকসুর পুনর্নির্বাচন দাবি, অনশনে অসুস্থ অনিন্দ্য মণ্ডল

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অনিন্দ্য মণ্ডল অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার বিকেলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে অনশনে বসেছেন সাত শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অনিন্দ্য মণ্ডল অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা যায়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে দাবি করে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাঁচজন কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন হল সংসদে নির্বাচন করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাঁরা অনশনে বসেন।

অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মীম আরাফাত মানব, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের তাওহীদ তানজিম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শোয়েব মাহমুদ, পপুলেশন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের মো. মাঈন উদ্দিন, দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের অনিন্দ্য মণ্ডল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রাফিয়া তামান্না এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আল মাহমুদ তাহা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অনিন্দ্য মণ্ডল অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার বিকেলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা

এঁদের মধ্যে মীম আরাফাত মানব ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য সমর্থিত প্যানেলে আন্তর্জাতিক সম্পাদক, তাওহীদ তানজিম স্বতন্ত্র জোট প্যানেলের ছাত্র পরিবহন সম্পাদক, শোয়েব মাহমুদ শহীদুল্লাহ হল সংসদে প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য মনোনীত সাহিত্য সম্পাদক, অনিন্দ্য মণ্ডল জগন্নাথ হলে প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য সমর্থিত সদস্য এবং মো. মাঈন উদ্দিন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল সংসদে প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য ও স্বতন্ত্র জোট সমর্থিত সংস্কৃতি সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া, রাফিয়া তামান্না ও আল মাহমুদ তাহা কোনো পদে নির্বাচন করেননি।

অনশনের কারণ জানতে চাইলে শোয়েব মাহমুদ বলেন, ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে জালিয়াতি ও ভোটচুরি হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন। তাঁরা দায়িত্বে থাকার পরও এ ধরনের নির্বাচন অপ্রত্যাশিত ছিল।

শোয়েব বলেন, এ নির্বাচনে জড়িত শিক্ষকসহ সবাইকে নির্বাচনে জালিয়াতির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের দাবি মোতাবেক ডাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। দাবি মানা না হলে আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।