জাবিতে কমিটি করল এরশাদের ছাত্রসমাজ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গঠিত হয়েছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন ‘জাতীয় ছাত্রসমাজ’। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কমনরুমে সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি গঠনের কথা জানায় ওই সংগঠন।
সংবাদ সম্মেলনে ১৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪২তম ব্যাচের মাসউদী হাসান মামুনকে আহ্বায়ক ও ইতিহাস বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শহীদ হাসান সৈকতকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের বহুদিনের প্রতিফলিত সমস্যাগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরে তার কার্যকর সমাধানের মাধ্যমে এগিয়ে চলবে আমাদের সংগঠন। সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা পেলে অনতিবিলম্বে আমরা প্রকৃত ছাত্ররাজনীতির সুশ্রী অবয়ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব। ভবিতব্য জাকসু নির্বাচনে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিশ্বস্ততার অবস্থান অটুট রাখতে পারব বলে আশাবাদী।’
এ ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—মাহমুদুল হাসান মুজাহিদ, শাহাদাত হোসেন শামীম, জুয়েল আহমেদ, আবু হাসান, রোদিয়া হোসেন, নাহিদ আহমেদ সবুজ, ইব্রাহিম খলিল আপন, রায়হান আহমেদ, সবুজ সরকার শুভ, মো. এরশাদুল হক, মো. তানজীব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নতুন কমিটির আহ্বায়ক মাসউদী হাসান মামুন। তিনি বলেন, ‘২৭ মার্চ এই কমিটির অনুমোদন দেন জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মোড়ল জিয়াউর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউল হক জুয়েল, জিয়াউর রহমান জয়, মো. মোখলেছুর রহমান।’
তিনি আরো বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় কার্যবিধি অনুসারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি প্রণীত হয়েছে। শিক্ষা শান্তি উন্নয়ন প্রগতি—এ স্লোগান ধারণ করে কেন্দ্রীয় নির্দেশে আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজ, জাবি শাখা। অস্ত্র ছেড়ে কলম ধর, সুশৃঙ্খল জীবন গড়—পল্লীবন্ধুর এই বাণীকে বাস্তব রূপদানে অমরা সদা সচেষ্ট থাকব।’
মামুন আরো বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে এই ছাত্রসংগঠনটি। আমাদের রাজনীতি হবে শিক্ষার্থীদের সমতা বিধান। সন্ত্রাস, হল দখল, অস্ত্রবাজি, ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি অগণতান্ত্রিক ও অসহনশীল ছাত্ররাজনীতির ভয়াল গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসে সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চাই আমাদের লক্ষ্য।’