ভর্তি হতে না হতেই জাবির নবীন শিক্ষার্থীদের মারামারি

Looks like you've blocked notifications!

পরিচয় প্রদান করাকে কেন্দ্র করে মারধরে জড়িয়ে পড়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

গত সোমবার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পরিচয় দেওয়া নিয়ে দর্শন বিভাগের শাহরিয়ার পারভেজ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এস এইচ পিয়াসের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বটতলায় পিয়াসকে মারধর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাত-আটজন শিক্ষার্থী। এর প্রতিক্রিয়ায় আজ বুধবার দুপুরে নতুন কলা ভবনের সামনে শাহরিয়ার পারভেজকে মারধর করেন মীর মশাররফ হোসেন হলের ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী।

৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান শাহরিয়ার। বন্ধুকে বিভাগে না পেয়ে সেখান থেকে ফেরার সময় পিয়াস তাঁকে পেছন থেকে ডেকে পরিচয় জানতে চান। পরিচয় না দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সোমবার পিয়াসকে বটতলা থেকে লাইব্রেরির পেছনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন শাহরিয়ারসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রথম বর্ষের সাত-আটজন শিক্ষার্থী।

পরে বিষয়টি মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে পিয়াসের বন্ধু ও বড় ভাইয়েরা বলেন, ‘মারের বদলে মার হবে।’ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে এস এইচ পিয়াস, সাকলাইন সাকিব, মিশাত, বাংলা বিভাগের সমরেশ, ইমরানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রথম বর্ষের ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার পারভেজের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। পরে দর্শন বিভাগের  শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাঁকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ বিষয়ে শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘সোমবার পিয়াস আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে আমি পরিচয় না দিয়ে চলে আসি। পরে সে আমার শার্টের কলার ধরে মারতে আসে। এই ঘটনার জের ধরে তারা আজ আমাকে মারধর করেছে।’

এস এইচ পিয়াস বলেন, ‘মঙ্গলবার বটতলা থেকে তুলে নিয়ে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। বিষয়টি হলের বন্ধু ও বড়ভাইদের সঙ্গে শেয়ার করলে তারা বলেন মারের বদলে মার হবে। পরে বুধবার নতুন কলা ভবনের সামনে আমরা ২০-২৫ জন তাকে মারধর করেছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়ে আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। পিয়াসকে মারধর করা হলে সে আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারতো। তা না করে নিজেরা মারধর করে তারা অপরাধ করেছে। আমরা ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’