ঢাবিতে ভর্তি জালিয়াতদের বহিষ্কারের দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জালিয়াতির মাধ্যমে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করে।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘মেধাবীদের পাঠশালায় জালিয়াতদের ঠাঁই নাই’, ‘আমাদের ক্যাম্পাস রাখিব মুক্ত’, ‘দুর্নীতি বন্ধ কর সুষ্ঠু সমৃদ্ধ ঢাবি গড়’, ‘জালিয়াতদের ঠিকানা ঢাবিতে হবে না’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জালিয়াতিতে যারা ভর্তি হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানান। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশ্নফাঁস হলে প্রশাসন সেটি অস্বীকার করে। তারা (প্রশাসন) বলে যে, ডিজিটাল জালিয়াতি হয়েছিল। কিন্তু ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমেও কি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়? ছাত্রলীগসহ সব সংগঠন জালিয়াতদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছিল। তাহলে তাদের এখনো কেন বহিষ্কার করা হচ্ছে না? তাহলে কি আমরা ভেবে নিব, জালিয়াতদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও জড়িত রয়েছে?
মানববন্ধনে সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। তিনি সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জালিয়াতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
ডাকসুর ভিপি বলেন, ঢাবিতে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রতিটি ছাত্রের ইচ্ছা থাকে। এটি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেটি এদেশের মানুষকে ন্যায়ের পথ দেখিয়েছে। পৃথিবীতে অনেক দেশ রয়েছে, যাদের অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু সেসব বিশ্ববিদ্যালয় একটি রাষ্ট্রের জন্ম দিতে পারেনি। এই ঢাবি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। আর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁস, জালিয়াতির মাধ্যমে অনেকে ভর্তি হয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে।
মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ডাকসুর স্বতন্ত্রজোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন প্রমুখ।