জাবিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরীর নতুন কমিটি গঠন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরীর ২০১৯-২০ সেশনের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিহাস বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের জাকিউল ইসলামকে সভাপতি ও ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের সাগর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাগর হোসেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি আবু হুরায়রা, নাহিদুর রহমান, মমতাজ রহমান, আসিফ সিরাজুম মনির ও জেরিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আজাদ, শাহিদা আক্তার, ইশরাত জাহান, আফসার ইয়াসমিন ও সুপ্রিয়া দে, সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহিমা আক্তার, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. মঞ্জু উদ্দিন, সুজিৎ দেবনাথ, তানজিলা আক্তার আঁখি ও শারমিন আক্তার।
কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন সাবিকুন্নাহার মৌ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ সুজন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক নুশরাত জাহান, ক্রীড়া সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আবিদা নাসরিন।
কমিটির কার্যকরী সদস্যরা হলেন পিংকি রানী দাস, মরিয়ম খাতুন, হাসিনা খাতুন ঝর্ণা, আবু হুরায়রা, আতিয়া মুন্নি, আজিজা আফরিন, ইসরাত জাহান নোভা, আস সাদিক মিতুল, সুমাইয়া তাবাসসুম প্রমুখ।
সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ। এ ছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক নুরুল হুদা সাকিব, মো. তারিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনুমা জামান।
প্রসঙ্গত, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘তরী’ ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকার সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা দিয়ে থাকে। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ কিংবা শহীদ মিনারের পাদদেশেই বসে পাঠশালা। সপ্তাহে তিন দিন বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের অসহায়-গরিব শিশুরা এখানে অধ্যয়ন করে। পথশিশুদের মধ্যে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া প্রতি বছর এ শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন, শিক্ষাসফরের পাশাপাশি নতুন পোশাকও বিতরণ করে থাকে সংগঠনটি। বর্তমানে প্রায় ২০০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু তরীতে পড়াশোনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় তাদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন।