সোহরাওয়ার্দীতে ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবীর নামের এক ব্যক্তিকে মারধর ও ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী প্রবীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তাঁকে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
ওই তিনজন হলেন হলেন ঢাবির হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আলী আব্বাস, জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক আকতারুল করিম রুবেল ও ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী রকি।
এর আগে আলী আব্বাসকে ঢাবির কলা ভবন এলাকায় ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক নেতাকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে, ভুক্তভোগী প্রবীর আগাঁরগাওয়ে একটি স্টিল স্ট্রাকচার কোম্পানিতে চাকরি করেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসে মামার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে তাঁর পরিচয় জানতে চান। তিনি ক্যাম্পাসের নন- এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাছে থাকা ব্যাগ, মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে নেন। এ সময় মানিব্যাগে থাকা তাঁর ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ডের পিন নম্বরও নেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁকে মারধর করে মানিব্যাগ থেকে আট হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
প্রবীর আরো জানান, তিনি অভিযুক্তদের ঢাবির এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলী আব্বাস, আকতারুল করিম রুবেল ও রকি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তাঁরা প্রবীরের কাছে গাঁজা পেয়েছিলেন। তাই তাঁকে মারধর করেছেন। কিন্তু ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা কোনো টাকাও নেননি।
তাঁরা বলেন, ঘটনাস্থলে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী প্রবীরের থেকে গাঁজা উদ্ধার করেন।
কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা শাহবাগ থানার এসআই সাহেব আলী বলেন, আমি গাঁজা পেলে তো তাঁকে (প্রবীর) আটক করতাম।
পরে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই চমক বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রবীর জিডি করতে এলে আমরা তাঁকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি ভুক্তভোগীকে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে বলেছি। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত করবে। তারা দোষী প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করব। অপরাধী যেই হোক তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এতে প্রশাসনকে সহায়তা করব।