ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘মাদারীপুর সাফল্য’

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, সহসভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভীর ও আরেফিন সিদ্দিক সুজন (বাঁ থেকে)। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বাড়ি ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর জেলায়। এটি পুরোনো কথা। শুধু তিনি একা নন, মাদারীপুর জেলা থেকে আরো ২১ জন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেয়েছেন বলে সংগঠনের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

সম্মেলনের দীর্ঘ এক বছর পর সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এই কমিটির অনুমোদন দেন।

ওই কমিটিতে ২ নম্বর সহসভাপতির পদ পেয়েছেন মাদারীপুরের বাসিন্দা তানজিল ভূঁইয়া তানভীর। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সব সময় প্রাডো গাড়ি ব্যবহার করেন। তাঁর বয়স ৩১ বছর। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সদস্য পদই থাকার কথা নয়। তবু তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন।

কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৫ নম্বর সহসভাপতির পদ পেয়েছেন মাদারীপুরের আরেক সন্তান আরেফিন সিদ্দিক সুজন। ইয়াবা সেবন ও মাদক রাখার অভিযোগে এক সময় মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

মাদারীপুরের বাসিন্দা ও ছাত্রলীগের ১২ নম্বর সহসভাপতি ইমরুল হাসান নিশু কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতি করেননি।

কেন্দ্রীয় কমিটির ১৬ নম্বর সহসভাপতি সাদিক খানও মাদারীপুরের সন্তান। তাঁর স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করা হয়েছিল।

২০ নম্বর সহসভাপতি মো. তৌহিদুর রহমান হিমেল প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারি ব্যবসায়ী। মাদারীপুরের এই নেতা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) পড়াশোনা শেষ করে ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত আছেন।

সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম জনি, কামাল খান ও আওলাদ খানও মাদারীপুরের বাসিন্দা।

৬ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল ভূঁইয়ার বাড়িও মাদারীপুর। তাঁর পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক খালিদ হাসান রবিন, কৃষি শিক্ষা সম্পাদক এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু, ১ নম্বর উপশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মনসুর হেলাল, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান সালেহী ও এস এম শওকত হোসেন, উপপাঠাগার সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, উপসাহিত্য সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, উপবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম সাকিব, উপমানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সোলায়মান খান সুজন, উপপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন (বহিষ্কৃত ও মামলার আসামি), সহসম্পাদক আহসান হাবীব বাপ্পী ও সহসম্পাদক মেহেদী হাসান রাজুর বাড়িও মাদারীপুর জেলায়।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।