ঈদেও রাজু ভাস্কর্যে থাকব, ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের ঘোষণা

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আজ সোমবার ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : এনটিভি

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করবেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। তাঁরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও সেখানে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

গত ১৩ মে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে বিবাহিত, মাদকাসক্ত, অছাত্র-অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছে অভিযোগ করে আন্দোলনে নামেন সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী। এ নিয়ে হামলা-মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পদবঞ্চিতরা তাঁদের আন্দোলন স্থগিত করেন। কিন্তু গতকাল রাতে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া হবে—এমন খবরে তাঁরা আবার রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের গত কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘আমরা এখানে অবস্থান করব, ঈদ আমরা ঢাকায় করার প্রস্তুতি নিয়েছি। যদি আমাদের এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করব। ঈদের দিন আমরা রাজু ভাস্কর্যে থাকব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা সভাপতি বি এম লিপি আক্তার বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গে আছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব।’

‘আমাদের মূল দাবি হলো ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, মাদকাসক্ত, বিবাহিত, জামায়াত-শিবির পরিবারের যারা; তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৭ জনের একটি লিস্ট দিয়েছেন। ১১ দিন আগে তাদের নাম ঘোষণা করা হলেও তাদের পদশূন্য ঘোষণা করা হয়নি এবং তাদের নিয়ে আজকে ফুল দিতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

লিপি আক্তার আরো বলেন, ‘ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর একটি পবিত্র জায়গা। সেখানে জাতির কলঙ্কিত যারা, তাদের নিয়ে কোনোভাবে ফুল দিতে যেতে পারে না ছাত্রলীগ। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।’

এ সময় পাশে অবস্থান করা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা ‘শেইম শেইম’ বলে নিন্দা জানান।

লিপি আক্তার বলেন, ‘আজকে আমাদের সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, মুজিব সৈনিক হিসেবে এগুলো আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। রাজাকারের সন্তান হয়ে ছাত্রলীগের ব্যানারে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যাবে, এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য লজ্জাজনক বিষয়।’