বহিষ্কৃতদের জন্য পরীক্ষা স্থগিত করল জাবির চারুকলা বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) র্যাগিং করার দায়ে বহিষ্কৃত চার শিক্ষার্থীর জন্য চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৪তম ব্যাচ) চূড়ান্ত পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছে বিভাগটি।
২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর সংগঠিত র্যাগিংয়ের ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে একই বিভাগের ৪৬ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী। দীর্ঘ এক বছর পর ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তক্রমে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে গত ৩ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত চারজনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত সবাই চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে সৌরভ চক্রবর্তী (আর্থো) ও আশিকুর রহমানকে এক বছর এবং জাকিয়া সুলতানা দিনা ও ফাহমিদা খানমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। বহিষ্কৃত চারজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অযোগ্য হওয়ায় একই ব্যাচের বাকি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর জন্য আবেদন করেন। শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ তারিখের পরীক্ষাসহ সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে পরীক্ষা কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কার আদেশের পর বিভাগ কীভাবে ওই শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা পেছাতে পারে- এ প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত বিবেচনা বা পুনর্বিবেচনার এখতিয়ার শুধু সিন্ডিকেট সভার। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষমতা নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. অসিত বরণ পাল বলেন, ‘পরীক্ষা কমিটি চাইলে পরীক্ষা পেছাতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমোদন লাগবে। আমি এখনো এ বিষয়ে কোনো চিঠি হাতে পাইনি। অফিসে আসছে কি না, আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলা বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শারমিন জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে পরীক্ষা পেছানোর জন্য আবেদন করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত সময় চেয়েছে। বহিষ্কৃত চার শিক্ষার্থী এর মধ্যে শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করবে বলে আমাদের বলেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের জন্য বিভাগ কীভাবে পরীক্ষা পেছাতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে শারমিন জামান বলেন, আমি বিভাগের সবার সঙ্গে কথা বলেই বিভাগের যতটুকু এখতিয়ার আছে, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।