প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি

ঢাবির ৬৯ শিক্ষার্থীকে অস্থায়ী বহিষ্কার

Looks like you've blocked notifications!

বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৬৯ শিক্ষার্থীকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ২০১২-১৩ থেকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ছয় বছরে ভর্তি হয়েছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভার একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভায় এসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ সিন্ডিকেটে পাস হয়। এই বিষয়ে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ৬৯ শিক্ষার্থীকে অস্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশ সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে। সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আগামী রোববার থেকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে। তাদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।’

এর আগে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনার তদন্ত করে চক্রের ১২৫ জনকে শনাক্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। যাদের মধ্যে ৮৭ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। শনাক্তকারী ১২৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করে সিআইডি। সিআইডির চার্জশিট ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ ৬৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।

একই অভিযোগে ৩০ জানুয়ারি ১৫ শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। সব মিলিয়ে এই পর্যন্ত ৮৪ জনকে বহিষ্কার করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে তালিকায় আরো তিনজন শিক্ষার্থী থাকলেও নাম-ঠিকানার সঙ্গে অমিল পাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তবে পরিচয় শনাক্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।