দুর্নীতির অভিযোগে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

Looks like you've blocked notifications!
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। ছবি : এনটিভি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছ কেটে অপরিকল্পিতভাবে হল নির্মাণসহ উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচিতে শিক্ষকদের একাংশও যোগ দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে জাবি উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এতে করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে বলে জানানো হয়েছে। অবরোধের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে পারেননি।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে গাছ কেটে হল নির্মাণ শুরু করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপরিকল্পিতভাবে গাছ কেটে নতুন পাঁচটি হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে হলগুলোর নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের দুই কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এসব কারণে গত কয়েক দিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একাংশ আন্দোলন করছে। কিন্তু জাবি প্রশাসন শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাই ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তিন দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে আবারও আন্দোলন শুরু করে।

দাবিগুলো হলো—১. বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের পাশের তিনটি হল স্থানান্তর করে নতুন জায়গায় দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। ২. মেগা প্রজেক্টের টাকার দুর্নীতির ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে টেন্ডারের শিডিউল ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এবং সবশেষ ৩. মেগা প্রজেক্টের বাকি স্থাপনাগুলোর কাজ স্থগিত রেখে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে মাস্টারপ্ল্যান পুনর্বিন্যাস করে কাজ শুরু করতে হবে।