শোভনের গাড়িতে বসা নিয়ে দুই সহসভাপতির মারামারি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/09/10/photo-1568113398.jpg)
ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের গাড়িতে বসাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মারামারি করেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সহসভাপতি। মারামারি করে ওই দুই নেতা আহতও হয়েছেন। দুই নেতাকেই হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই কেন্দ্রীয় নেতা হলেন, শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এনটিভি অনলাইনকে জানান, দুপুরের দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন মধুর ক্যান্টিনে যান। সেখানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ফেরার সময় তাঁর গাড়িতে উঠতে চান ছাত্রলীগের তিন সহসভাপতি - আল নাহিয়ান খান জয়, শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির। গাড়িতে তিনজনের মধ্যে কে যাবেন তা নিয়ে তৈরি হয় মতানৈক্য। এক পর্যায়ে শোভন তাঁদের কাউকে না নিয়েই গাড়ি নিয়ে চলে যান।
জানা যায়, সভাপতি শোভনের গাড়ি চলে যাওয়ার পর সহসভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎকে উদ্দেশ করে বাজে মন্তব্য করেন আরেক সহসভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। মারামারিতে উভয়েরই মাথা ফেটে যায়।
ওই সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিদ্যুৎকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন আবার মধুর ক্যান্টিনে ফিরে যান। তাঁর গাড়িতে করে আহত জহিরকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে শাহরিয়ার কবির বিদ্যুতের অভিযোগ, শোভনের সমর্থক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির তাঁকে আগে আঘাত করেন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জহির সিন্ডিকেটের লোক। তাই আমার সাথে তাঁর (জহির) সিন্ডিকেট ও ননসিন্ডিকেট নিয়ে অনেকদিন ধরে ঝামেলা হচ্ছে এবং সে (জহির) জামায়াত পরিবারের সন্তান। আমরা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে তাদের সঙ্গে আমাদের আদর্শিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেজন্য সে আমাকে টার্গেট করে মেরেছে।’
তবে এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা জহিরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক ছাত্রলীগ নেতা এনটিভি অনলাইনকে জানান, মারামারির পর শোভন তাঁর গাড়িতে করে জহিরকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য নূর হোসাইন ইমন অভিযোগ করেছেন ওই মারামারির ঘটনা ভিডিও করায় ছাত্রলীগ নেতা শোভন তাঁকে গাড়িতে তুলে নেন। তাঁর অভিযোগ পরে শোভন ও তাঁর সমর্থকরা জোর করে ভিডিও ফাইলটি মুছে ফেলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘ওই সাংবাদিকের নিরাপত্তার জন্যই তাঁকে আমি গাড়িতে তুলি। ’
এর আগে গত রোববার রাতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর প্রটোকল না দেওয়ায় ঢাবির সূর্যসেন হলের চারটি রুম তালাবদ্ধ করে ছাত্রলীগের হল শাখার যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ শরিফুল আলম শপু। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার শোভনের গাড়িতে বসা নিয়ে এমন ঘটনা ঘটল।