ঢাবিতে ‘নিয়মবহির্ভূত ভর্তি’র প্রতিবাদে বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলা

Looks like you've blocked notifications!
‘নিয়মবহির্ভূতভাবে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধীনে মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় আজ বুধবার দুপুরে হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছবি : এনটিভি

‘নিয়মবহির্ভূতভাবে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধীনে মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে হামলা করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের মধ্যে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আসিফ মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থীর চোখের নিচে আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, মুহসীন হলে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হওয়া মেহেদী হাসান মিজানের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। মিজান ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক ও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের অনুসারী।

সাদ্দামের নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা এ হামলা করে বলেও অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও সাদ্দাম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে আন্দোলনকারীরা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে স্মারকলিপি দিতে যান। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে চার দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁদের মারধর শুরু করলে তাঁরা সেখান থেকে চলে আসেন।

এতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বাম সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা প্রক্টর কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করতে গিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর আগে থেকে হামলা করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতরা সাদ্দামের অনুসারী।’

অন্যদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সংগীত বিভাগের আসিফ মাহমুদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওমর ফারুখ এবং ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মো. আরিফুর রহমান যুবরাজ। তাঁরা সবাই সূর্য সেন হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁরা ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের অনুসারী বলে এনটিভি অনলাইনের কাছে স্বীকার করেন।

অভিযোগের বিষয়ে মুহসীন হলের জিএস মেহেদী হাসান মিজান বলেন, ‘আমি এই হামলার সঙ্গে জড়িত নই। ব্যক্তিগত কাজে আমি হলের প্রভোস্টের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।’

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে এ হামলা হয়েছে। এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’