ডাকসুর সভায় রাব্বানী ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অনুপস্থিত

Looks like you've blocked notifications!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) দ্বিতীয় কার্যকরী সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী।

সম্প্রতি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে গোলাম রাব্বানীকে। চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।  

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংসদের এক কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। বিষয়টি ডাকসুর একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে গোলাম রাব্বানীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে আজ আসিনি। তবে দুই একদিনের মধ্যে আসব।’ 

এ ব্যাপারে একই কথা বলেন ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে রাব্বানী আজকের সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।’

সভায় গোলাম রাব্বানীর জিএস পদ থাকবে কিনা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে, সভায় অন্যান্য এজেন্ডা হিসেবে সান্ধ্যকালীন কোর্স, লাইব্রেরীর আসন সংকট, হলের আবাসন সমস্যা, ক্যাম্পাসের পরিবহন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ডাকসুর এজিএস।

গোলাম রাব্বানীর ছাত্রলীগ থেকে পদ হারানোকে নৈতিক স্খলন আখ্যায়িত করে জিএস পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করার দাবি তুলেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। তবে ডাকসুর গঠনতন্ত্রে এরকম স্পষ্ট কোন নির্দেশনা না থাকায় তখন ছাত্রলীগ সমর্থিতরা তা প্রত্যাখান করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিপি নুর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি রাব্বানীর বিষয়টি সভায় তুলেছিলাম। তবে ছাত্রলীগ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেনি। তখন উপাচার্য বলেন এ বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবেন।’  

সভা শেষে ডাকসুর সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ও চেতনার জায়গা। সুতরাং এখানে কোনো ধর্মেরই ধর্মভিত্তিক, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই। তাদের কোনো ধরনের তৎপরতা ঐতিহ্যগতভাবে এখানে  নেই। সেটি যেন কোনো ক্রমেই এদের অনুপ্রবেশ বা কর্মকাণ্ড পরিচালিত না হয় সে বিষয়ে যেন সকলে যত্নশীল থাকে সেজন্য ডাকসুর তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’