মাস্টার্স পরীক্ষার ১৫ দিনের মধ্যে ঢাবির হল ছাড়তে হবে

Looks like you've blocked notifications!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে রাজনৈতিকভাবে সিট প্রদানের পরিবর্তে প্রশাসনিকভাবে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। মেধার ভিত্তিতে প্রথম বর্ষ থেকে হল কর্তৃপক্ষ সিট বরাদ্দ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসন প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে শূন্য আসনে সিট বরাদ্দ করবে। হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী হলে উঠতে ও অবস্থান করতে পারবে না। এ সিদ্ধান্তের কেউ ব্যতিক্রম ঘটালে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হলে অপ্রীতিকর কোনো বস্তু পাওয়া গেলে হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা হলগুলোতে কোনো মাদকসেবী, মাদক কারবারি, মাদকাসক্ত এবং সন্ত্রাসী অবস্থান করতে পারবে না। এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানা থাকলে তা অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে প্রভোস্ট কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমগুলোতে বাঙ্ক বেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হলের যেসব কক্ষে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী অবস্থান করে, সেখানে বাঙ্ক বেড স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

লাইব্রেরির সিট সংকট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের সুবিধার্থে আরো অধিক সময় বিভাগীয় সেমিনার ও লাইব্রেরি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সময়সীমা এরই মধ্যে রাত ১০টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সময়সীমা আরো বৃদ্ধি এবং বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরির সময়সীমাও বৃদ্ধি করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।

সভায় সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন এবং এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি করা হয়। এ ছাড়া আবরার ফাহাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।