বুয়েটে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর দশ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেই দাবির বিষয়ে আজ শুক্রবার উপাচার্য (ভিসি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আবরার হত্যা মামলার ১৯ আসামিকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে রাজনীতি। তারপরেও বুয়েট শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অনঢ়। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবিতে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত রাখার বিষয়টিও ছিল। তবে এখনই ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করতে রাজি নন ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
তবে বৈঠকে উপস্থিত সব শিক্ষার্থী বারবার বলতে থাকেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতসহ আমাদের দশ দফা দাবির সবগুলো মানা না হলে আন্দোলন চলবে। আমরা মৌখিকভাবে না, সব দাবির বাস্তবায়ন চাই।’ কিন্তু উপাচার্যসহ বৈঠকে থাকা অন্য শিক্ষকরা ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত না করার পক্ষে মত দেন।
শুক্রবার রাত ৮টার সময় সভাস্থল ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা। সভাস্থল ত্যাগ করার আগে ভিসি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ না করতে আমাকে অনেকই ফোন করেছেন। তোমরা এটা বোঝার চেষ্টা কর, সারা বাংলাদেশ থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসবে। তাদেরকে তোমরা সহযোগিতা কর। আমি বিনীতভাবে তোমাদেরকে অনুরোধ করছি।’
ওই সময় আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যার আমরাদের সব দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলছে, চলবে এবং চলবে। এখন ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার মত কোনো পরিবেশ নেই্। তাছাড়া আমরা চাই না, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগতদের সন্ত্রাসী আর খুনিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে।’
এরপর একে একে উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকরা সভাস্থল ত্যাগ করে বেরিয়ে যান। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরপরই মোটামুটি আলোচনা শেষ পর্যায়ে চলে আসে। পৌনে সাতটার দিকে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের অনেকেই সভাস্থল ত্যাগ করেন। এরপরেই পুনরায় শুরু হয় ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত নিয়ে কথাবার্তা। তারপর ঠিক ৮টা পর্যন্ত ভর্তি প্রসঙ্গ নিয়ে কথা চললেও শেষে এর কোনো সমাধান হয়নি। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা দুই দিকে অবস্থান নেন।
উপাচার্যসহ শিক্ষকরা সভা কক্ষ ত্যাগ করলে শিক্ষার্থীরা বলতে থাকেন, ‘সব দাবি মানতেই হবে। না হলে আন্দোলন চলবে।’